বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন

বঙ্গোপসাগরে ৫০ জেলেকে আটকে কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবী

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলে কুতুবদিয়ার ১৫টি ফিশিং ট্রলারে হানা দিয়েছে জলদস্যুরা। এ সময় ট্রলারে থাকা সব মাছ ও মালামাল লুট করে তারা। একই সঙ্গে এসব ট্রলারে থাকা ৫০ জেলেকে আটকে রাখা হয়েছে। তারা কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে।

শুক্রবার (৬ আগস্ট) মধ্যরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের কুতুবদিয়া ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন কোম্পানি।

তিনি জানান, সকাল থেকে খবর আসতে থাকে অন্তত ১৫টি ট্রলারে ডাকাতির। এসব ট্রলারে থাকা ৫০ জনের বেশি জেলেকে পাঁচটি ট্রলারে আটকে রেখেছে। বাকিদের ছেড়ে দেয়। তারা আটকে রাখা ৫০ জেলের জন্য কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে। বিষয়টি কোস্টগার্ডকে জানিয়েছি। তবে তাদের কোনো অগ্রগতি নেই।

ডাকাতি হওয়া ‘এফবি মায়ের দোয়া’ ট্রলারের মালিক নেজাম উদ্দিন কোম্পানি বলেন, গত শনিবার সাগরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় আমার ট্রলার। সাত দিন সাগরে মাছ শিকারের পর ফিরে আসার পথে বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়া চ্যানেলের অদূরে ডাকাতরা গতিরোধ করে জাল, আহরণ করা প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ লুট করে। মাঝিসহ পাঁচ জেলেকে আটকে রাখে। আটকে রাখা জেলেদের মুক্তিপণ হিসেবে সকাল থেকে ১০ লাখ টাকা দাবি করছে জলদস্যুরা।

‘আল্লাহর দান’ নামে ফিশিং ট্রলারের মালিক তৈয়ব উল্লাহ বলেন, দীর্ঘ ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ট্রলার সাগরে গেছে। ঋণ করে ট্রলার সাগরে পাঠিয়েছি। মাছ, জাল সব রেখে দিয়েছে জলদস্যুরা।

ট্রলারে ডাকাতির কথা স্বীকার করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের কুতুবদিয়া স্টেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, কুতুবদিয়ার ১৫ ও বাঁশখালীর পাঁচটি ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অনেককে ছেড়ে দিয়েছে। তবে যারা জলদস্যুদের কাছে জিম্মি তাদের ব্যাপারে তৎপরতা শুরু হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com